অস্কার পুরষ্কার নিয়ে আদ্যোপান্ত
অস্কার নাম শুনলেই আমরা হলিউডের দিকে
তাকায়।পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু সব জায়গার অস্কার প্রেমীরা কৌতোহল নিয়ে
থাকে আগ্রহে থাকে প্রতিবছর। কে কে পেলো এই বিশ্বসেরা পুরষ্কার,
কে হলো সেরা অভিনেতা,অভিনেত্রী,কে হলো বিশ্ব সেরা সাহ্যিতিক।
যেখানে সারা বিশ্বের নামীদামী তারকারদের মিলনমেলা
বসে। বিশ্বের শিল্প সাহিত্য,চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। তারকাদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ,সম্মানজনক
পুরষ্কার দেওয়ায় হলো অস্কার পুরষ্কার।
আজকে এই বিশ্ব
সেরা পুরস্কার অস্কার নিয়ে আপনাদের সাথে একটু গল্প হলে মন্দ হয় না
কি বলেন!!
তাহলে চলুন
গল্পটা শুরু করি, একটু তুলনামূলক আলাপ করি বিশ্ব সেরা পুরুষ্কার অস্কার এর আদ্যোপান্ত
নিয়ে
অস্কার পুরষ্কারের
ইতিহাস বা শুরুটা কিভাবে হয়েছে যদি জানতে চাই তাহলে দেখতে পাবো সেই ১৯২৯ সালের ১৬ মে
সর্বপ্রথম হলিউডের রুজবেল্ট নামক হোটেলের ছোট্ট ব্লজম রুমে অস্কার পুরষ্কার দেওয়া হয়।
সেই থেকে শুরু কালপরিক্রমে এখন বিশ্ব সেরা বিশাল বড় আয়োজন উৎসবের মধ্য দিয়ে এই সম্মানসূচক
পুরষ্কার অস্কার দেওয়া হয়।যেখানে কোটি কোটি দর্শক আগ্রহে নিয়ে বসে থাকে দেশে এবং দেশের
বাহিরে। এবারের ৯৫ তম অস্কার পুরষ্কার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়।
আমরা এখন জানবো
অস্কার কি? অস্কার পুরষ্কারটির নামকরণ কীভাবে করা হয়েছে?
অস্কার আমরা
জানি একটি বিশ্ব সেরা পুরষ্কার। পৃথিবীর সেরা বার্ষিক পুরুষ্কার। ১৯৩১ সালে সর্বপ্রথম
অস্কার নামটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। অস্কার একাডেমিক পুরুষ্কার। তার প্রকৃত নাম হলো
- একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’’ এবং সাথে একটি পদক দেওয়া হয় সেটিই হলো অস্কার। আর
এই পুরুষ্কারটি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অব মোশন পিকচার্স এন্ড সাইন্স নামের
একটি অলাভজণক প্রতিষ্ঠান। অস্কার পদকটির নকশা তৈরি করেন বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান
এমজিএম এর শিল্প নির্দেশক সেড্রিক গিবসন। এখন কথা হলো অস্কার নামটি তাহলে আসলো কোথা
থেকে?
এই পদক অস্কার
যার নামকরণে আসলে অস্কার নামের কোন সুনিশ্চিত ধারণা নেই। অনেকেই মনে করেন এটা তাদের
চাচার মতো দেখতে -একাডেমি সাবেক বোর্ড সচিব মার্গারেট বলেন -অস্কার দেখতে আমার চাচার
মতো। বেটি ডেভিস বলেন তার প্রথম স্বামী হার্মান ‘’অস্কার’’ নেলসনের মতো দেখতে। আবার
লেখক সিডনি স্কলস্কি দাবী করেন যে অস্কার নামটি তিনি দিয়েছেন।
আসলে অস্কার
নাম পদক সরকারি কোন নাম নয়। এটি ট্রেডমার্ক হিসেবে সুরক্ষিত। ব্রোঞ্জের এই পদকটি ২৪
ক্যারেট সোনায় মোড়ানো। ১৩ ইঞ্চি লম্বা ও সাড়ে আট ৮ পাউন্ড ওজন এই অস্কার পদকটির। ১৯২৯
সালের প্রথম অস্কার বিতরনী থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার অস্কার পদক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে
বিতরন করা হয়েছে। এই পুরুষ্কার বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রেমী ও কলাকৌশলীদের কাছে সবচেয়ে
লোভনীয়, আকর্ষনীয় ও বিতর্কিত পুরুষ্কার হিসেবে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান রয়েছে।
বিভিন্ন
ক্যাটাগড়িতে অস্কার পদক
অস্কার পদকটি বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে বিতরণ করা হয়।
বর্তমানে ২৪টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ১৯২৯ সালের সর্বপ্রথম অস্কার
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মোট ১৫ টি ক্যাটাগড়িতে এই পদক বিতরণ করা হয়েছিল। এবং সেই
অনুষ্ঠানে পুরষ্কার প্রাপ্তদের আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তাই তাদের মাঝে তেমন চমক
ছিল না। জাস্ট একটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। তারপর একাডেমী সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আগে থেকে
পুরষ্কার প্রাপ্তদের জানানো হবে না কে কে পাচ্ছেন
অস্কার। এটা বেশ মজার ছিল। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে খাম খুল্লে জানতে পারবে কে পাচ্ছেন
এই বিশ্ব সেরা অস্কার পদক। এখনো সেই ধারা অব্যাহত আছএ।তার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র প্রেমী,কর্মীদের
মাঝে ও সারা বিশ্বে তার উৎসব আমেজ একটা চমক থাকে দর্শক সবার মাঝে অটুট থাকে। উৎসব-অনুষ্ঠানটি
ঘিরে সারাবিশ্ব তখন তাকিয়ে থাকে তাদের প্রিয় চলচ্চিত্র,তাদের প্রিয় অভিনেতা,প্রিয় সাহ্যিতিক
কে পাচ্ছেন এই সেরা পদক।
প্রথম অস্কার
পুরষ্কার বিশ্বসেরা অভিনেতা হিসেবে জার্মান এমিল জ্যানিংস পেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগেই দেশে ফিরতে হয়েছিল।তাই
তার পুরষ্কারটি আগেই নির্মাণ করে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাই প্রথম পুরষ্কার বিতরণী
অনুষ্ঠান সবার মাঝে চমক তেমন নজর কাড়েনি। সেই
বিবেচনায় একাডেমি সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা পরের বছর থেকে আর আগে থেকে কিছুই জানাবে না।
সেই ধারা এখনো অব্যহত রয়েছে।প্রতি বছর অস্কার জয়ী পুরষ্কার প্রাপ্তরা অনুষ্ঠান চলাকালে
খাম খোলা একটা চমকের মধ্য দিয়ে জানতে পারে। অস্কার পুরষ্কার অনুষ্ঠানটি বিশ্ব জোড়ে
সারা ফেলে।সবার মাঝে একটা চমক থাকে কে পাচ্ছে
অস্কার পুরষ্কার। দেশ-বিদেশে রেডিও টিভিতে অনুষ্ঠানের পর্ব দেখানো শুরু করে।
প্রত্রপত্রিকগুলোতে অস্কার নিয়ে লেখা লেখি হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে টিভি চ্যানেলে অস্কার
পুরষ্কার অনুষ্ঠান্টি লাইভ প্রচার করে।সেটি বিশ্বের অনেকে দেশেই সেটা লাইভ প্রচার করে।
অস্কার পুরষ্কর
এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চলচ্চিত্র ক্যাটাগরি।যা আমাদের সবচেয়ে কাঙ্খিত ক্যাটাগরি।
কিন্তু সে বছর প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে কোনো ক্যাটাগরি
ছিল না। কিন্তু এর বদলে দুটি পুরষ্কার ছিলো একটি হলো সবচেয়ে অন্যন্য চলচ্চিত্র ‘উইংস’(Most
Outstanding Picture) যা পায় অপরটি হলো সবচেয়ে মানস্পন্ন শৈল্পিক প্রযোজনা (Most
Artistic Quality of Production) যা পায় ‘সানরাইজ’। এই দুটো পুরস্কারই সমান। অস্কার
একাডেমি পরের বছর থেকে সবচেয়ে সেরা চলচ্চিত্র একটি পুরষ্কার প্রর্বতন করার সিদ্ধান্ত
নেয়।এবং তারা অন্যন্য প্রযোজনা (Outstanding Production)নাম দেয়। এবং সেই ক্যাটাগড়িতে
উইংস’ প্রথম অস্কার পুরষ্কার প্রাপ্ত সেরা চলচ্চিত্র হয়। তবে সেরা চলচ্চিত্র ক্যাটাগরি
হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় সেরা চলচ্চিত্র ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন হয়। ১৯৪১ সালে নাম
পরিবর্তন হয়ে অনন্য গতিশীল চলচ্চিত্র
(Outstanding motion Picture) নামে ক্যাটাগরি হয়।পরে আবার ১৯৪৪ সালে এই নাম পরিবর্তন
করে রাখে শ্রেষ্ঠ গতিশীল চলচ্চিত্র (Best Motion + Picture)। এবং সর্বশেষ ১৯৬২ সাল
থেকে এই অস্কার পুরস্কারের নাম পরিবর্তন করে আবার নামকরণ করে সেরা চলচ্চিত্র (Best
Picture) নাম দেওয়া হয়। যা এখনো অব্যহত আছে।
১৯২৯ সাল সর্বপ্রথম
অস্কার পুরষ্কার প্রদানের ক্ষেত্রে অস্কার একাডেমি চলচ্চিত্র ক্যাটাগরি নিয়ে কিছুটা
দ্বিধায় ছিল। একটি চলচ্চিত্রকে কোন ক্যাটাগরিতে মনোনীত করবে জনপ্রিয়, নাকি শিল্প সম্মত
আবার অন্যদিকে প্রযোজক নাকি প্রযোজনা কাকে দিবে পুরষ্কার।এইসব বিবেচনায় করে ‘ জ্যাজ
ফিঙ্গার’ কে ১৯২৯ সালে একই সাথে সেরা ছবি,সেরা চিত্রনাট্য পরিচালনা,সেরা কারিগরি দক্ষতায়
মনোনীত করে। কিন্তু ‘জ্যাজ ফিঙ্গার ‘ সেরা ছবি পুরষ্কার পায় নি। কারণ উদ্ঘাটনে সমালোচকদের
মতে বাকি সব নির্বাক ছবির সাথে এই সবাক ছবির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় কারণ উল্লেখ
করে। তবে ছবির প্রযোজনা সুন্দর সূচনা বিস্ময় থাকায় ‘ জ্যাজ ফিঙ্গার’ ছবির প্রযোজকে
বিশেষ অস্কার পুরষ্কার দেয়া হয়।
আমাদের সবার
প্রিয় চ্যার্লিন চ্যাপলিন সে বছর বিশ্বসেরা প্রথম অস্কার পুরষ্কারে মাঝে ‘দ্য সার্কাস’
ছবির প্রযোজনা, পরিচালনা, রচনা ও অভিনয়ের জন্য বিশেষ অস্কার পুরষ্কারে ভূষিত করে।
প্রথম বছর ৩টি
ছবি দিয়ে মনোয়ন দিয়ে শুরু করে। পরে আস্তে আস্তে প্রতিবছর ছবির সংখ্যা বাড়তে থাকতে।
পরের তিন বছরে মনোয়ন পায় ৫টি করে, এর পরের ১৯৩৩ সালে ৮ টি,১৯৩৪ সালে ১০টি ছবি মনোনীত
করে। আবার ১৯৩৫ সালে ১২ টি ,১৯৩৭ সালে ১০ টি ছবির মনোয়ন দেয়া হয়। উল্লেখ ১৯৪৫ সালে
আবার ৫টি ছবি মনোনীত করে।এবং ২০০৯ সাল থেকে ১০ টি করে ছবি মনোনীয়ন দিয়ে আসছে। তবে চলচ্চিত্রের
ক্ষেত্রে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হতো প্রযোজন প্রতিষ্ঠানের হাতে কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৫১
সাল থেকে প্রযোজকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
বর্তমানে
অস্কার ২৪ট ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার প্রদান করে থাকে। যেমন ,
1.সেরা
ছবি 2. সেরা চিত্রনাট্য 3. সেরা অভিনেতা 4.সেরা অভিনেত্রী 5. সেরা সহঅভিনেতা 6. সেরা
সহঅভিনেত্রী 6. সেরা অ্যানিমেশন 7.সেরা পরিচালক 8. সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য 9. সেরা গৃহীত
চিত্রনাট্য 10. সেরা সিনেমাটোগ্রাফি1 1. সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন 12. সেরা সম্পাদনা
13. সেরা নির্মাণ 14. সেরা মৌলক গান 15. সেরা
সাউন্ড এডিটিং 16. সেরা সাউন্ড মিক্সিং 17. সেরা মেকাআপ এন্ড হেয়ারস্টাইলিং 18.সেরা
প্রোডাকশন ডিজাইন 19. সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট 20. সেরা লাইভ অ্যাকশন শর্ট 21. সেরা ডকুমেন্টরি
ফিচার 22. সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট 23. সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র 24. সেরা অ্যানিমেশন
ফিচার চলচ্চিত্র।
একনজরে দেখে আসি ২০২৩ সালের ৯৫ তম অস্কার বিজয়ী
গত ১২ মার্চ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বের সেরা পুরষ্কার অস্কার। হলিউডের ডলবি থিয়েটারে জমজমাট উৎসবমুখর
পরিবেশের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছিলো এবারে বিশ্ব সেরা আসর। সারা দুনিয়া জুড়ে এই দিনটার
জন্য অধীর আগ্রহে থাকে চলচ্চিত্রপ্রেমী ও কলাকৌশলীরা। এই মহা উৎসবের মধ্য দিয়ে অস্কার
বিভিন্ন ক্যাটাগরির চলচ্চিত্রের কলাকৌশলীরা জিতে নিলেন সোনায় মোড়ানো পদকটি।
এবারের সবচেয়ে
আলোচ্য বিষয় হয়েছে ১১ টি বিভাগে মনোয়ন হয়ে সর্বোচ্চ ৭ টি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নিয়েছে
Everything Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার
অল অ্যাট ওয়ান্স) মুভি। এটি এখন সর্বকালের সেরা তালিকায় অর্ন্তরভুক্ত করে নিয়েছে।
সেরা পরিচালক
হিসেবে Everything Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
মুভির পরিচালক ‘ডুয়ো’
সেরা অভিনেতার
ঝুড়িতে অস্কার তুলে নিলেন বহুল আরাধ্য এবছরের জন্য ব্রেন্ডন ফ্রেজার – দ্য হোয়েল’।
সেরা অভিনেত্রী
হিসেবে পুরষ্কার জিতে নিয়ে গেছেন মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী মিশেল ইয়োর। Everything Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল
অ্যাট ওয়ান্স) মুভির অভিনেত্রী মনোয়নে। এবং তিনি এশিয়ার প্রথম এশিয়ান অভিনেত্রী
যিনি অস্কার জিতেছেন।
সেরা সহ অভিনেতা
হিসেবে অস্কারটি ভিয়েতনামের অভিনেতা কি-হিউ কুয়ান এর ঝুলিতে গেছে। Everything
Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স) মুভি।
সেরা সহ অভিনেত্রী
হিসেবে Everything Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার
অল অ্যাট ওয়ান্স) মুভির মিশেলের সাথে জেমি-লি কার্টিস এর সিস্টারহুড ব্যাপক জনপ্রিয়
হয়েছে। সহ অভিনেত্রী হিসেবে তার ঝুলিতে পড়েছে অস্কারের সোনায় মোড়ানো পদকটি।
সেরা অ্যানিমেশন
চলচ্চিত্র পুরষ্কারটি জিতে নিয়েছেন ‘’গিয়ার্মো দেল তোরো’স পিনোকিও’’ মুভির পরিচালক।
প্রথম অস্কারের ইতিহাসে তিন ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়ে ৩ ক্যাটাগরিতেই অস্কার জিতে নিলেন।
বিদেশি ভাষায়
সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ‘’ অল কোয়াইয়েট অন দ্য ওয়েস্টান ফ্রন্ট ‘’ মুভি। এটি কালজয়ী
উপন্যাস। এরিখ মারিয়া রেমার্কের যুদ্ধ বিরোধী। যুদ্ধ ভয়াল,নারকীয়,বীভৎসতা রোধ নিয়ে
মুভিটি।
অস্কারে জন্য
গুরুত্বপূর্ণ সেরা চিত্রনাট্য অরিজিনাল এই বিভাগে অস্কার জিতে নিলেন Everything
Everywhere All at Once (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স) ড্যানিয়েল কুয়ান,
ড্যানিয়েল শাইনার্ট।
সেরা চিত্রনাট্য
অ্যাডাপ্টেড মনোনীত হয়ে ‘’উইম্যান টকিং’’ চিত্রনাট্যের জন্য অস্কার পেয়েছেন ‘সারাহ
পলি’।তিনি এই মুভিটি পরিচালনাও করেছেন।
তবে আমাদের
পাশ্বর্বতী দেশ ভারত চলচ্চিত্রে বিভাগে যেতে ব্যর্থ হলেও চলচ্চিত্রের গান দিয়ে জায়গা
করে নিয়েছে। আর আর আর মুভির নাটু নাটু গান দিয়ে ভারতের ঝুলিতে অস্কার নিয়ে এসেছেন।
- সেরা চলচ্চিত্র: এভরিথিং এভরিহোয়্যার
অল অ্যাট ওয়ান্স
- সেরা পরিচালক: ড্যানিয়েল কুয়ান,
ড্যানিয়েল শাইনার্ট (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
- সেরা অভিনেতা: ব্রেন্ডন ফ্রেজার
(দ্য হোয়েল)
- সেরা অভিনেত্রী: মিশেল ইয়ো (এভরিথিং
এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
- সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: কি হিউ কুয়ান
(এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
- সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: জেমি লি
কার্টিস (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
- সেরা চিত্রনাট্য (মৌলিক): এভরিথিং
এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স – ড্যানিয়েল কুয়ান, ড্যানিয়েল শাইনার্ট
- সেরা চিত্রনাট্য (অ্যাডাপ্টেড):
উইম্যান টকিং – সারাহ পলি
- বিদেশী ভাষায় সেরা চলচ্চিত্র: অল
কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জার্মানি)
- সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র: গিয়ের্মো
দেল তোরো’স পিনোকিও
- সেরা আবহসঙ্গীত: অল কোয়ায়েট অন
দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট – ভলকার বার্তেলমান
- সেরা সংগীত: নাটু নাটু (আরআরআর)
- সেরা শব্দগ্রহণ: টপ গান: ম্যাভেরিক
- সেরা চিত্রগ্রহণ: অল কোয়ায়েট অন
দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট – জেমস ফ্রেন্ড
- সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: অল কোয়ায়েট
অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট
- সেরা সম্পাদনা: এভরিথিং এভরিহোয়্যার
অল অ্যাট ওয়ান্স
- সেরা ভিজুয়াল ইফেক্ট: অ্যাভাটার
– দ্য ওয়ে অব ওয়াটার
- সেরা মেকআপ অ্যান্ড হেয়ারস্টাইলিং:
দ্য হোয়েল
- সেরা কস্টিউম ডিজাইন: ব্ল্যাক প্যান্থার:
ওয়াকান্দা ফরেভার
- সেরা লাইভ-অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম: অ্যান
আইরিশ গুডবাই
- সেরা অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম: দ্য
বয়, দ্য মোল, দ্য ফক্স, অ্যান্ড দ্য হর্স
- সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার: নাভালনি
- সেরা ডকুমেন্টারি – শর্ট সাবজেক্ট:
দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারারস।
0 Comments